বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘শ্রমনীতি সংস্কার অনেক মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে’

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২১ ১২:৫০

আকর্ষণীয় শ্রমবাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রমনীতি সংস্কারকাজে হাত দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এর মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকরা সরকারি চাকরিতে সরাসরি আবেদনও করতে পারবেন।

সৌদি আরবের শ্রমনীতি সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির প্রবাসী শ্রমিকরা। তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক মানুষের কল্যাণ হবে।

স্থানীয় সময় রোববার শ্রমনীতি সংস্কারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় বলে আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাফালাব্যবস্থা পরিবর্তনের ফলে বেসরকারি খাতে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের চাকরিতে নমনীয়তা বাড়বে। এ ছাড়া চাকরি পরিবর্তনসহ নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই সৌদি আরব ছাড়তে পারবেন তারা।

শ্রমনীতি সংস্কারের পর কয়েকজন প্রবাসী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছে আরব নিউজ। তাদের একজন ভারতের ইমরোজ আব্দুল রহমান। তিনি দেশটিতে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছেন।

ইমরোজ বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। চার বছর আগে আমি সাবেক কর্মস্থল ছাড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সবার জন্য প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল ও দুরূহ ছিল। পুরো বিষয়টি সুরাহা করতে কয়েক মাস লেগে যায়।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমনীতি সংস্কার আমার মতো অনেক মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে। কোথায় এবং কী ধরনের কাজ করব, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব এখন।’

অভিবাসী ও প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে শ্রমনীতি সংস্কারে লাভবান হবে সৌদিতে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক। ঐতিহাসিক এই সংস্কারের ফলে দেশটির শ্রমবাজারে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

আকর্ষণীয় শ্রমবাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রমনীতি সংস্কারকাজে হাত দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। এর মাধ্যমে প্রবাসী শ্রমিকরা সরকারি চাকরিতে সরাসরি আবেদনও করতে পারবেন।

প্রতিযোগিতামূলক ও শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সৌদি আরবের শ্রম সংস্কার উদ্যোগের (এলআরআই) আওতায় এসব পরিবর্তনে দেশটির প্রায় এক কোটি অভিবাসী শ্রমিক উপকৃত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই উদ্যোগের ফলে বিদেশি শ্রমিকদের বাসস্থানও নিশ্চিত হবে যা কি না, কোনো নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হবে না। এ ছাড়া এর মাধ্যমে চাকরিতে গতিশীলতা বাড়ার পাশাপাশি নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক উভয়েরই অধিকার রক্ষা হবে। ফলে সৌদি আরব ছাড়াও দেশটিতে ফের প্রবেশের ভিসাও পাবেন শ্রমিকরা।

অবশ্য বায়াত আল-এদারাহ নামের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আব্দুল গানি আল-আনসারি বলেন, বেসরকারি খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এ সংস্কার অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

এ বিভাগের আরো খবর